‘১০ দিনের ট্রেনিং করে ১ কোটি লোক যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত’
১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১২ পিএম
১০ দিনের ট্রেনিং এ এক কোটি লোক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ বীরবিক্রম। এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা মনে কইরেন না, আপনাদের দেওয়া নাম বিজিবি আছে, এটা এখন বিজিবি না, এটা এখন বিডিআর। সুতরাং কোন অন্যায় কাজ এদেশের ১৮ কোটি মানুষ মেনে নেবে না।
আমি আগেই বলেছি, আমাদের সৈনিক সংখ্যা হচ্ছে এক কোটির উপরে। ১০ দিনের ট্রেনিং এ এক কোটি লোক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে। সুতরাং আমাদের সাথে ফাজলামি করে কোন লাভ হবে না। আপনাদের কাজ আপনারা করেন, আমাদের কাজ আমরা করি। আমাদের উপর মাতবরি করবেন না।
আমাদের সাথে বন্ধুত্ব করেন, আমাদের জনগণের সাথে। সরকারের সাথে বন্ধুত্ব করলে কোন লাভ হবে না। সরকার আসবে সরকার যাবে, জনগণের সাথে সম্পর্ক করেন। ভারতের পিঁয়াজ এবং চাউল ছাড়া দিব্যি ভালোই চলছে বাংলাদেশ। কোন অসুবিধা তো হচ্ছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের মুরগি ছাড়া তো বাংলাদেশ চলছে, ভারতের গরু ছাড়া তো বাংলাদেশ চলছে। সুতরাং ভারত থেকে আর গরু, মুরগি, আন্ডা, এগুলো আনার কোন প্রয়োজন নাই। চাউল আনার প্রয়োজন নাই, বিকল্প রাস্তা খুঁজে নেন, পিঁয়াজ আনার দরকার নাই। নিজের দেশে উৎপাদন বাড়ান। চাষাদের, কৃষকদেরকে বলব নিজের দেশে উৎপাদন বাড়ান।
জাপান যদি ছয় গুণ বেশি উৎপাদন করতে পারে, আমরা দুই গুণ বেশি কেন উৎপাদন করতে পারবো না। তাহলে আমাদের কোন সমস্যা থাকবে না। নিজের উপর নির্ভরশীল হই, আল্লাহর উপর আস্থা রাখি। আল্লাহর উপর যদি আস্থা থাকে, আমরা রসূলের উপর যদি বিশ্বাস করি তাহলে আমাদের কোন সমস্যা থাকবে না।
দুঃখজনক যেমন আমি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলি, আমি চট্টগ্রামে ছিলাম। আমার দলের অফিসের দায়িত্ব যিনি আছেন, মাহবুব আমাকে একটা লেখা পাঠাইলেন, লেখাটা হলো, জামাতের আমির বলেছেন, উনারাই দেশপ্রেমিক এবং আর্মি দেশপ্রেমিক। আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, আপনি কি দেশপ্রেমিক না! আপনি তো মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছেন।
আমি তাকে উত্তর দিলাম, প্রত্যেকটা জিনিসের উত্তর দিতে হয় না। জাতীয় রাজনীতি করতে গেলে অনেক জিনিসগুলি নীরবে সহ্য করতে হয়। কামড়াকামড়ি করলে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। সরকার যারা আছে তাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত হবে এবং হাসিনা ফিরে আসার পথ সুগম হবে। হাসিনা মানে হাসিনার লোটা বাহিনীরা আবার ফিরে আসবে। লোটা বাহিনীরা তো আপনারা দেখেছেন সচিবালয়ের অভ্যন্তরেও তারা স্যুটকোট পড়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। এই সাহস পায় কোথায়! লোটা বাহিনী থাকার কারণে।
ডক্টর ইউনুস যদি প্রথম রাত্রে ২০২০ সালে, ২০১৮ সালে যে সমস্ত টিএনও, যে সমস্ত ওসি, যে সমস্ত ডিসি, এসপি দায়িত্ব পালন করেছে, তাদেরকে যদি বরখাস্ত করতো তাহলে এইদিন ডক্টর ইউনুসকে দেখতে হতো না।’
বিভাগ : রাজনীতি
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এসবির প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে গোলাম রসুলকে
পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার
বাংলাদেশের সীমান্তে ১৬০টি জায়গায় কাটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত : রিজভী
সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
মোক্ষম চাল রাশিয়ার
লুকিয়ে পাথর লুঠে যেয়ে সিলেটে এক শ্রমিকের মৃত্যু !
বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মিয়া গ্রেফতার
ভারতে পালানোর সময় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা পান্ডে গ্রেপ্তার
খুশদিল ঝড়ে খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল রংপুর
টানা ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার জবি শিক্ষার্থীদের
যাদের চিন্তাধারায় গড়ে উঠেছে পাশ্চাত্য জীবন দর্শন
`সমন্বয়ক, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হ'
মুজিবনগর ঘোষণায় সেক্যুলারিজম সমাজতন্ত্র বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ছিল না : ৭২ এর সংবিধানে আছে
সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-দখলবাজি রুখতে হবে
এইচএমপিভি: বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা
হতাহত ৩০
৩শ’ সৈন্য নিহত
৫ মাওবাদী হত্যা
দাবানলে চুরি
চেক প্রজাতন্ত্রে নিহত ৬